দু’ ঈদের সলাত সম্পর্কে,দু’ ঈদের সলাতে ইমাম কত তাকবীর দিবেন?কুরবানীর গোশত জমা করে রাখাঃআর কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
৫/১৫৫. দু’ ঈদের সলাত সম্পর্কে
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى يَوْمَ الْعِيدِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ .
২/১২৭৪। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন আযান ও ইকামত ব্যতীত (ঈদের) সালাত (নামায/নামাজ) পড়েন।
It was narrated from Ibn ‘Abbas that the Prophet (ﷺ) prayed on the day of ‘eid with no Adhan and no Iqamah.
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৯৫৯-৬০, মুসলিম ৮৮১-২, তিরমিযী ৫৩৭, আবূ দাঊদ ১১৪৬-৪৭, আহমাদ ২১৭০, ২৫৬৯, ৩০৯৫, ৩২১৭, ৩৩০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৪১।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/১৫৬. দু’ ঈদের সলাতে ইমাম কত তাকবীর দিবেন?
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَعُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَبَّرَ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى سَبْعًا وَخَمْسًا سِوَى تَكْبِيرَتَىِ الرُّكُوعِ .
৪/১২৮০। আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সালাতে রুকূ-সাজদাহর তাকবীর ব্যতীত অতিরিক্ত সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন।
It was narrated from ‘Aishah that the Messenger of Allah (ﷺ) said the Takbir seven and five times in (the prayer for ‘eid) Fitr and Adha, apart from the Takbir for Ruku’ (bowing).
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: আবূ দাঊদ ১১৪৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৩৯, সহীহ আবী দাউদ ১০৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِكٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ دَفَّتْ دَافَّةٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ حَضْرَةَ الْأَضْحَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُوا وَادَّخِرُوا ثَلَاثًا فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ كَانُوا يَنْتَفِعُونَ مِنْ أَضَاحِيِّهِمْ يَجْمُلُونَ مِنْهَا الْوَدَكَ وَيَتَّخِذُونَ مِنْهَا الْأَسْقِيَةَ قَالَ وَمَا ذَاكَ قَالَ الَّذِي نَهَيْتَ مِنْ إِمْسَاكِ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ قَالَ إِنَّمَا نَهَيْتُ لِلدَّافَّةِ الَّتِي دَفَّتْ كُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا
৪৪৩২. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বেদুঈনদের একটি দল কুরবানীর সময়ে উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা খাও এবং তিন দিন পর্যন্ত জমা করে রাখতে পার। পরের বছর লোকজন বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! মানুষ তাদের কুরবানী দ্বারা উপকৃত হয়। তার চর্বি গলাত এবং তা দ্বারা মশক তৈরি করত। তিনি বললেনঃ তা কী হলো? লোকটি বললোঃ আপনি তো কুরবানীর গোশত জমা রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি বললেন, আমি তো নিষেধ করেছিলাম ঐ লোকদের জন্য, যারা আগমন করেছিল। এখন তোমরা খাও, জমা করে রাখ এবং সাদকা কর।
It was narrated that 'Aishah said: " "Some Bedouins came to Al-Madinah at the time of (eid) Al-Adha and the Messenger of Allah said: 'Eat, and store (the meat) for three days.' After that they said: 'O Messenger of Allah, the people used to benefit form their sacrifices by melting down the fat, and (also) making water skins from them.' He said: 'Why are you asking?' He said: 'Because you forbade us form keeping the meat of the sacrificial animals.' He said: 'I only forbade that because of the Bedouins who came. (Now) eat it, store it and give it in charity."
তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৪/৩৭০, সহীহ আবু দাউদ ২৫০৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
ঈদের সালাত আযান ও ইকামত নেই।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْعِيدَيْنِ غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُ لاَ يُؤَذَّنُ لِصَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَلاَ لِشَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ .
৫৩২. কুতায়বা (রহঃ) ...... জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ এক-দুইবার নয়, বহুবার আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আযান ও ইকামত ছাড়া দুই ঈদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। - সহিহ আবু দাউদ ১০৪২, আহমাদ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির ইবনু আবদিল্লাহ ও ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে ও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও অপরাপর ফকীহ আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল করার অভিমত দিয়েছেন। তারা বলেনঃ দুই ঈদের সালাত (নামায/নামাজ) এবং কোন নফল সালাতের জন্য আযানের বিধান নেই।
Jabir bin Samurah narrated: "I prayed the two eid prayers with the Prophet - not one time, not two times - without and Adhan nor an Iqamah."
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي عِيدٍ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ .
১৫৬৫। কুতায়বা (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে ঈদের দিনে সালাত আদায় করলেন খুৎবার পুর্বে আযান এবং ইকামাত ব্যতীত।
[সহীহ। ইরউয়াউল গালীল ৩/৯৯, সহীহ আবু দাউদ হাঃ ৩০৪২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৯২৫, বুখারী ৯৫৮ সংক্ষিপ্ত]
It was narrated that Jabir said: "The Messenger of Allah (ﷺ) led us in praying on 'eid before the Khutbah, with no Adhan and no Iqamah."
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ شَهِدْتُ الصَّلاَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلاَلٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ وَحَثَّهُمْ عَلَى طَاعَتِهِ ثُمَّ مَالَ وَمَضَى إِلَى النِّسَاءِ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَمَرَهُنَّ بِتَقْوَى اللَّهِ وَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ وَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ حَثَّهُنَّ عَلَى طَاعَتِهِ ثُمَّ قَالَ " تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ " . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْ سَفِلَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ بِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " تُكْثِرْنَ الشَّكَاةَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ " . فَجَعَلْنَ يَنْزِعْنَ قَلاَئِدَهُنَّ وَأَقْرُطَهُنَّ وَخَوَاتِيمَهُنَّ يَقْذِفْنَهُ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ يَتَصَدَّقْنَ بِهِ .
১৫৭৮। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ঈদের দিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি আযান ইকামাত ব্যতীতই খুৎবা দেওয়ার পূর্বে সালাত শুরু করে দিলেন। যখন সালাত শেষ করলেন, বিলাল (রাঃ) এর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে গেলেন, আল্লাহর প্রশংসা এবং গুন বর্ণনা করলেন, লোকদের ওয়াজ করলেন, তাদের নসীহত করলেন এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করলেন। অতঃপর চেহারা ফিরিয়ে নিলেন এবং নারীদের দিকে গেলেন। তার সাথে বিলাল (রাঃ)-ও ছিলেন। তিনি তাদেরকে আদেশ দিলেন আল্লাহকে ভয় করতে, ওয়াজ করলেন, নসীহাত করলেন, আল্লাহর প্রশংসা এবং গুন বর্ণনা করলেন এবং তাদেরকে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি উবুদ্ধ করলেন এবং বললেন, তোমরা দান-খয়রাত করবে, যেহেতু তোমাদের অধিকাংশই জাহান্নামের ইন্ধন। তখন নিম্ন শ্রেনির একজন মহিলা বলে উঠল যার গন্ডদ্বয়ে হালকা কাল দাগ ছিল, কেন ইয়া রাসুলাল্লাহ? তিনি বললেন, তোমরা অত্যধিক গীবত কর এবং স্বামীর নাফরমানী কর। তখন তারা নিজেদের হার, কানের বালী এবং আংটি টেনে টেনে খূলে ফেলতে শুরু করল, যা বিলালে (রাঃ) এর কাপড়ে ছুড়ে মারতে শুরু করল সদকা স্বরূপ।
[সহীহ। ইরউয়াউল গালীল ৬৪৬, হিজাবুল মারআহ ২৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৯২৫]
It was narrated that Jabir said: "I attended the prayer with the Messenger of Allah (ﷺ) on the day of 'eid. He started with the prayer before the Khutbah, with no Adhan and no Iqamah. When he finished the prayer, he stood leaning on Bilal, and he praised and glorified Allah (SWT) and exhorted the people, reminding them and urging them to obey Allah (SWT). Then he moved away and went to the women, and Bilal was with him. He commanded them to fear Allah (SWT) and exhorted them and reminded them. He praised and glorified Allah, then he urged them to obey Allah, then he said: 'Give charity, for most of you are the fuel of Hell.' A lowly woman with dark cheeks said: 'Why, O Messenger of Allah?' He said: 'You complain a great deal and are ungrateful to your husbands.' They started taking off their necklaces, earrings and rings, throwing them into Bilal's garment, giving them in charity."
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/৩৬. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা নিষেধ।
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الْأَضْحَى أَمَّا يَوْمُ الْفِطْرِ فَيَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ وَيَوْمُ الْأَضْحَى تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ لَحْمِ نُسُكِكُمْ
২/১৭২২। আবূ উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে ঈদের দিন উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবাহর আগে সালাত পড়েন, অতঃপর বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ দু’ দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। কেননা ঈদুল ফিতরের দিন হচ্ছে তোমাদের রোযা ভঙ্গের দিন এবং ঈদুল আযহার দিন তোমরা তোমাদের কুরবাণীর গোশত খাবে।
It was narrated that Abu ‘Ubaid said: “I was present for ‘eid with ‘Umar bin Khattab. He started with the prayer before the sermon, and said: ‘The Messenger of Allah (ﷺ) forbade fasting on these two days, the Day of Fitr and the Day of Adha. As for the Day of Fitr, it is the day when you break your fast, and on the Day of Adha you eat the meat of your sacrifices.’”
সহীহুল বুখারী ১৯৯০, ৫৫৭৩, মুসলিম ১১৩৭, তিরমিযী ৭৭১, আবূ দাউদ ২৪১৬, আহমাদ ২৮৪, মুয়াত্তা মালেক ৪৩১, বায়হাকী ৫/১১৭, ইরওয়াহ ৩/১২৭-১২৮, সহীহ আবী দাউদ ২০৮৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২. ঈদের নামাযে আযান ও ইকামাত নেই
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْعِيدَيْنِ غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُ لاَ يُؤَذَّنُ لِصَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَلاَ لِشَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ .
৫৩২। জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দুই ঈদের নামায আযান এবং ইকামাত ব্যতীত একবার দু’বার নয় একাধিকবার আদায় করেছি (আহমাদ, মুসলিম, আবু দাউদ)। -হাসান সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১০৪২), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ জাবির ইবনু সামূরার হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবীগণ ও অন্যরা এ হাদীস অনুযায়ী দুই ঈদের নামায ও নফল নামাযের জন্য আযান দিতেন না।
Jabir bin Samurah narrated: "I prayed the two eid prayers with the Prophet - not one time, not two times - without and Adhan nor an Iqamah."
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মতের পক্ষে কুরবানী)
২২. (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মতের পক্ষে কুরবানী)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الأَضْحَى بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ عَنْ مِنْبَرِهِ فَأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ وَقَالَ " بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ هَذَا عَنِّي وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ إِذَا ذَبَحَ بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ . وَالْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ يُقَالُ إِنَّهُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ جَابِرٍ .
১৫২১। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি ৰলেন, আমি মাঠে হাযির হলাম নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদুল আযহার নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে। তিনি খুৎবা সমাপ্তির পর তার মিম্বার হতে নামলেন। তারপর একটি ভেড়া আনা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিজ হাতে যবেহ করলেন এবং বললেনঃ “আল্লাহ্ তা'আলার নামে, আল্লাহ মহান, এই কুরবানী আমার পক্ষ হতে এবং আমার উম্মাতের যে সকল ব্যক্তিরা কুরবানী করতে পারেনি তাদের পক্ষ হতে।
সহীহ, ইরওয়া (১১৩৮), সহীহ আবূ দাউদ (২৫০১)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদ সূত্রে গারীব বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভিজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন। তারা মনে করেন যবাহের সময় “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" বলতে হবে। এই মত দিয়েছেন ইবনুল মুবারাকও। মুত্তালিবের পুত্র আবদুল্লাহ ইবনু হানতাব প্রসঙ্গে কথিত আছে যে, জাবির (রাঃ)-এর নিকট হতে তিনি কিছু শুনার সুযোগ লাভ করেননি।
Narrated Jabir bin 'Abdullah: "I attended the eid Al-Adha' with the Prophet (ﷺ) at the Musalla. When he finished his Khutbah, he descended from his Minbar and was given a male sheep. The Messenger of Allah (ﷺ) slaughtered it with his hand and said: 'Bismillah, Wa Allahu Akbar, this from me and whoever does not slaughter from my Ummah.'"
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
No comments